কক্সবাজারে হোটেলের এক রিসিপশনিস্টের সাথে মিটিং হলো, তিনি বললেন, কাজী যতো বিয়া পড়ায় না, তার চেয়ে বেশি বিয়া আমি পড়াই। তাও আবার ডেইলি।
কিভাবে?
ঢাকা থেকে বাবা মাকে ভুজুং ভাজুং দিয়ে উঠতি বয়সি খোকাবাবু এবং খুকুমণিরা আমাদের হোটেলে সুয়ামি আর ইসতিরি পরিচয় দিয়ে রুম নিচ্ছে। নিজেদের মতো করে সময় কাটাচ্ছে, এই হচ্ছে দেশের অবস্থা।
স্টাডি ট্যুরে এসে সেখান থেকে হঠাত দুই ঘণ্টার জন্যে ধরেন মন্টু আর মুন্নি গায়েব। কি ব্যাপার? কি ব্যাপার? সেই দুই ঘণ্টায় তারা হোটেলে উঠে আসছে জামাই বৌ হয়ে।
সব ধরনের হোটেলেই এরকম শত শত মোবাইল বৌ আর মোবাইল জামাই আছে। কিশোর বয়সী ছেলেমেয়েরা হোটেলে রুম ভাড়া করে স্বল্প সময় বা দীর্ঘ সময়ের জন্যে। স্টাডি ট্যুর, ব্যাচ ট্যুর এগুলা বালফ্রেন্ড এবং গালফ্রেন্ডের এক সাথে রাত কাটানোর একটা উপলক্ষ মাত্র।
গতকাল সাঁতার কাটতে গিয়ে দেখি দুই খুকি অতি স্বল্প বসনে পুলপাড়ে বসে বিড়ি ফুকাচ্ছেন, হুট করে সেখানে ৩ খোকার আগমন। এসে একজন আরেকজনের সাথে কিসমিস খাচ্ছে। মাঝে বিড়ি টানছে। এখানে কে কার বৌ, কে কার ভাবী, কে কার শালী, আল্লাহ্ ভালো জানেন। মানে পুরা পিনিকময় পরিবেশ।
এনিওয়েজ, এগুলা সামাজিক অবক্ষয়ের কারণেই হচ্ছে এতে কোন সন্দেহ নাই। বাবা মায়ের চোখ ফাকি দিয়ে একটু স্বাধীন হওয়ার জন্যে এরকম ক্রিয়াকলাপ সমাজে বেশ প্রবলভাবে বিস্তার লাভ করেছে। এগুলোকে সমর্থন জানানোর মতো মানুষও আছেন অনেকেই।
যাই হোক, এগুলো থামানো পসিবল না। খুকুমণিরা বিড়ি খাবে, গাঞ্জা খাবে। সম অধিকার বলে তো একটা ব্যাপার আছে, তাই না? আমাদেরকে খেয়াল রাখতে হবে, আমাদের সন্তান যেন এই খোকা বা খুকিদের লাইনে চলে না যায়।
এজন্য সন্তানের সাথে সময় কাটানো, তার খেয়াল রাখা, তার সাথে রেগুলার কমিউনিকেট করা, এগুলা খুব জরুরী। খুব বেশি ব্যস্ততার মাঝেও আমরা যেন এটা ভুলে না যাই।
Comments
Post a Comment