রোজ সকালে আমার মেহগণি বাগানে উড়ি-উড়ি করে। চমৎকার করে ডাকে। জট ডুমুর গিলে খায়। দুষ্টু কাল কাক তাড়িয়ে বেড়ায়। কাল ফিংগে এগাছ-ওগাছ ক'রে ঘোরে। এত দুষ্টু এই কাল কাক, মাঝে-মাঝে গাছে বসে চমৎকার করে বীণার সুরে ডাকে। আমি ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে কান পেতে শুনি, দেখি। বসন্ত বাহার পাখী লম্বু গাছের ডালে পাতার আব্ডালে বসে,হামান দিস্তির পান বাটার সেই ঠক্-ঠক্ শব্দে ডাকে। আর ও আসে বিশ্বকবি রবিবাবুর বিশ্বনন্দিত হল্দি আর সাদা রং বউ কথা কও পাখী। আমাকে মিষ্টি সুরে, দুষ্টুমী করে, ডেকে বলে যায়, "বউ কথা কও।" মনে পড়ে যায়, প্রয়াত বিখ্যাত প্রিয় পল্লী শিল্পী, আব্বাস উদ্দীনের বিখ্যাত সেই গান, "হলুদিয়া পাখী সোনারই বরণ... পাখীটি....ছাড়িল কে...."
কক্সবাজারে হোটেলের এক রিসিপশনিস্টের সাথে মিটিং হলো, তিনি বললেন, কাজী যতো বিয়া পড়ায় না, তার চেয়ে বেশি বিয়া আমি পড়াই। তাও আবার ডেইলি। কিভাবে? ঢাকা থেকে বাবা মাকে ভুজুং ভাজুং দিয়ে উঠতি বয়সি খোকাবাবু এবং খুকুমণিরা আমাদের হোটেলে সুয়ামি আর ইসতিরি পরিচয় দিয়ে রুম নিচ্ছে। নিজেদের মতো করে সময় কাটাচ্ছে, এই হচ্ছে দেশের অবস্থা। স্টাডি ট্যুরে এসে সেখান থেকে হঠাত দুই ঘণ্টার জন্যে ধরেন মন্টু আর মুন্নি গায়েব। কি ব্যাপার? কি ব্যাপার? সেই দুই ঘণ্টায় তারা হোটেলে উঠে আসছে জামাই বৌ হয়ে। সব ধরনের হোটেলেই এরকম শত শত মোবাইল বৌ আর মোবাইল জামাই আছে। কিশোর বয়সী ছেলেমেয়েরা হোটেলে রুম ভাড়া করে স্বল্প সময় বা দীর্ঘ সময়ের জন্যে। স্টাডি ট্যুর, ব্যাচ ট্যুর এগুলা বালফ্রেন্ড এবং গালফ্রেন্ডের এক সাথে রাত কাটানোর একটা উপলক্ষ মাত্র। গতকাল সাঁতার কাটতে গিয়ে দেখি দুই খুকি অতি স্বল্প বসনে পুলপাড়ে বসে বিড়ি ফুকাচ্ছেন, হুট করে সেখানে ৩ খোকার আগমন। এসে একজন আরেকজনের সাথে কিসমিস খাচ্ছে। মাঝে বিড়ি টানছে। এখানে কে কার বৌ, কে কার ভাবী, কে কার শালী, আল্লাহ্ ভালো জানেন। মানে পুরা পিনিকময় পরিবেশ। ...
Comments
Post a Comment