ভিসা ও পাসপোর্ট থাকার পরও বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন হয়েছে মোহাম্মদ শাওন নামের এই মালয়েশিয়া প্রবাসী। মৃত শাওনের মা হাইকমিশন থেকে কোনো সহায়তা পায়নি, হাইকমিশন কে জানিয়ে বা হাইকমিশন জানা স্বত্ত্বেও কোনো হেল্প করেনি। হাইকমিশন এর কর্মকর্তারা কেন মালয়েশিয়া আছে, আসলে তাদের কাজ কি? তাদের বেতন আসে কোথা থেকে, কেনো তারা বেতন বা তাদের পরিবার সহ মালয়েশিয়ায় থাকে এইটা তারাও জানে না। অন্যান্য দেশের হাইকমিশন যেই পরিমান সেবা দেয়, মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশন তার বিন্দুমাত্র সেবা দেয় না, তাদের কাজ বিশেষ দিনে হাইকমিশনে বক্তব্য দেয়া, সাংবাদিকদের ডেকে খাওয়াদাওয়া করা। এদের কাজ শেষ। আজ শাওন বেওয়ারিশ হয়ে দাফন হয়েছে, কাল এমন আরও অনেক শাওন হবে। আর আমাদের হাইকমিশন কোনো এক অফিসিয়াল সেমিনারে বলবে প্রবাসীরা তাদের নিয়ে সমালোচনা করে, তারা অনেক কাজ করে উলটে ফেলছে। প্রবাসী শাওনের জন্য দোয়া করবেন, আল্লাহ তায়া’লা এই প্রবাসীকে জান্নাতবাসী করুন।
রোজ সকালে আমার মেহগণি বাগানে উড়ি-উড়ি করে। চমৎকার করে ডাকে। জট ডুমুর গিলে খায়। দুষ্টু কাল কাক তাড়িয়ে বেড়ায়। কাল ফিংগে এগাছ-ওগাছ ক'রে ঘোরে। এত দুষ্টু এই কাল কাক, মাঝে-মাঝে গাছে বসে চমৎকার করে বীণার সুরে ডাকে। আমি ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে কান পেতে শুনি, দেখি। বসন্ত বাহার পাখী লম্বু গাছের ডালে পাতার আব্ডালে বসে,হামান দিস্তির পান বাটার সেই ঠক্-ঠক্ শব্দে ডাকে। আর ও আসে বিশ্বকবি রবিবাবুর বিশ্বনন্দিত হল্দি আর সাদা রং বউ কথা কও পাখী। আমাকে মিষ্টি সুরে, দুষ্টুমী করে, ডেকে বলে যায়, "বউ কথা কও।" মনে পড়ে যায়, প্রয়াত বিখ্যাত প্রিয় পল্লী শিল্পী, আব্বাস উদ্দীনের বিখ্যাত সেই গান, "হলুদিয়া পাখী সোনারই বরণ... পাখীটি....ছাড়িল কে...."