মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পাম্পেওর এর বক্তব্য রিতীমত আমাদের জন্য এলার্মিং নিউজ। তিনি বিবৃতিতে বাংলাদেশকে এমনভাবে তুলে ধরেছেন, "যেখানে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আল-কায়েদা রয়েছে, একই সঙ্গে ভবিষ্যতে এ গোষ্ঠী এখানে সন্ত্রাসী হামলা চালাতে পারে।"
আমেরিকা-ইউরোপে বাংলাদেশ সম্পর্কে নেতিবাচক সংবাদ পৌঁছে গেছে। কারা আমেরিকার কাছে বাংলাদেশকে নেতিবাচকভাবে তুলে ধরলো?
বিষয়টি যতোটা আমরা সহজ মনে করছি এতোটা সহজ না।
এখানে জটিল সমীকরণ রয়েছে। এর জন্য খেসারত দিতে হতে পারে বাংলাদেশকে। আমি বিশ্বাস করি বাংলাদেশে যদি ভিন্নমতের চর্চা থাকতো। সংসদে শক্তিশালী বিরোধীদল থাকতো, রাজনৈতিক চর্চা থাকতো, তাহলে আমেরিকার কাছে কেউ আমাদের এভাবে তুলে ধরতে পারতো না এবং বাংলাদেশে আল- কায়েদা রয়েছে, এ কথাও তারা বলতে পারতো না।
এক্ষেত্রে তারা নিজেরা পর্যবেক্ষণ করে দেখতো যে, বাংলাদেশে আল- কায়েদার উপস্থিতি ভুয়া। কারণ এখানে সুন্দর রাজনৈতিক চর্চা, শক্তিশালী বিরোধীদলের উপস্থিতি রয়েছে। গ্যাপ কখনো খালি থাকেনা। কেউ না কেউ পূরণ করে।
আওয়ামীলীগের আমলে রাজনৈতিক ফিল্ডে বিএনপিসহ ভিন্নমতের দলগুলোর অনুপস্থিতি এবং ইসলামপন্থীদের কিছুটা সরব উপস্থিতির মাধ্যমে রাজপথে প্রোগ্রাম করতে দেওয়ার সুযোগ তৈরি করে দেওয়ার মাঝে কি বার্তা আমেরিকার কাছে যেতে পারে, তা সকলের আশা করি বোঝার কথা।
সংবিধানের প্রস্তাবনাতেই রাজনৈতিক সাম্যের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু রাজনীতিতে আদৌও কি কোন সাম্য আছে?
সরকার ইসলাম পন্থীদের যেভাবে রাজনৈতিক মাঠে নামার ও কথা বলার কিছুটা সুযোগ দিয়েছে। সেটি সংবিধানের প্রস্তাবনায় উল্লেখিত রাজনৈতিক সাম্যের কিছুটা ইঙ্গিত করে। ঠিক একইভাবে বিএনপিসহ অন্যান্যদের সেই সুযোগ দিলে রাজনৈতিক মাঠে একটা ব্যালেন্স থাকতো। পুরোপুরি সাম্য প্রতিষ্ঠার জন্য সরকার ক্রেডিট নিতো পারতো। তখন সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদের তকমা ঢোঁপে টিকতো না। কিন্তু মধ্যপন্থী, প্রগতিশীল দলগুলোর অনুপস্থিতির কারণে খাপেখাপে সব মিলে গেছে। আর আমেরিকার কাছে বাংলাদেশকে নেতিবাচকভাবে তুলে ধরার সুযোগটাও সুযোগসন্ধানী প্রিয়া সাহারা কাজে লাগিয়েছে।
প্রিয়া সাহা টাম্পকে বলেছিলেন, বাংলাদেশে অসংখ্য সংখ্যালঘুকে হত্যা ও বাড়িঘরে আগুন দেওয়া হয়েছে।
তিনি ট্রাম্পের উদ্দেশ্যে বলেছিলেম, "স্যার, আমি বাংলাদেশ থেকে এসেছি। এখানে ৩৭ মিলিয়ন (তিন কোটি ৭০ লাখ) হিন্দু বৌদ্ধ এবং খ্রিস্টান নিখোঁজ হয়ে গেছে। দয়া করে আমাদের, বাংলাদেশী মানুষদের, সাহায্য করুন। আমরা আমাদের দেশে থাকতে চাই। সে দেশে এখনো ১৮ মিলিয়ন (১ কোটি ৮০ লাখ) সংখ্যালঘু আছেন। আমার অনুরোধ হচ্ছে, আমাদের সাহায্য করুন। আমরা আমাদের দেশ ছেড়ে যেতে চাই না। শুধু আমাদের দেশে থাকতে সাহায্য করুন।"
প্রিয়া সাহা আরো বলেন, "আমি আমার বাড়ি হারিয়েছি। তারা আমাদের বাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে। তারা আমাদের জমি নিয়ে নিয়েছে। কিন্তু এর কোন জাজমেন্ট (বিচার) হয় নি।"
এ সময় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাকে প্রশ্ন করেন "বাড়ি ও জমি কে নিয়েছে?"
প্রিয়া সাহা তখন মুহূর্তেই বলেন, "মুসলিম মৌলবাদী গোষ্ঠী। তারা সবসময়ই রাজনৈতিক আশ্রয় পাচ্ছে। সব সময়।"
প্রিয়া সাহার শেষের লাইন চমৎকার! " মুসলিম মৌলবাদী গোষ্ঠী "। এই বিষয়টি নিয়ে সরকার তখন সঠিক প্রতিবাদ ও প্রিয়া সাহার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করতে পারতো, তখনই হয়তো সবকিছুর সমাধান হতো। পরবর্তীতে এখন আর " আল- কায়েদার" অপবাদ বাংলাদেশকে শুনতে হতো না!
প্রিয়া সাহার শেষের লাইন চমৎকার! " মুসলিম মৌলবাদী গোষ্ঠী
ReplyDeleteNewsBangla24
Thanks for Sharing This renowned top class online newspaper list. Really good this list.