আগামীতে যারা ছদাহার মেম্বার-চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে আসবেন, তাদের কাছে আমার কয়েকটি চাওয়া পাওয়ার মধ্যে
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ও কিছু ভাবনা।
আসছে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সাতকানিয়া উপজেলার ১৫ নং ছদাহা ইউনিয়ন একটি জনবহুল ও বিস্তৃত এলাকা জুড়ে অবস্থিত, এই ইউনিয়নটি মুলত প্রধান ৩টি ওয়ার্ড (A, B ও C ওয়ার্ড) নিয়ে গঠিত হলে ও বর্তমানে এক একটি ওয়ার্ডকে ভেঙ্গে ৩ টি ওয়ার্ড করে মোট ৯টি ওয়ার্ড করা হয়েছে, প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে একজন করে মেম্বার নির্বাচিত হয়, প্রতি ৩টি ওয়ার্ড নিয়ে একজন মহিলা মেম্বার নির্বাচিত হয়, সাথে তো একজন চেয়ারম্যান সাহেব আছেনই।
আগামীতে যারা ছদাহার মেম্বার-চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে আসবেন, তাদের কাছে আমার কয়েকটি চাওয়া পাওয়ার মধ্যে
#প্রথম চাওয়াটি হলো- প্রতিটি ওয়ার্ডকে জনসংখ্যার অনুপাতে সমান ভাগে ভাগ করে পুনঃগঠন করতে হবে।
((প্রয়োজনে পুরানো ওয়ার্ড গুলোকে ভেঙ্গে সম্প্রসারণ করতে হবে, যাতে কেরে একটি ওয়ার্ডে ভোটার বেশীর হওয়ার দরুন বাড়তি কোনো সুবিধা ভোগ করতে না পারে অথবা অন্য কোনো ওয়ার্ডের উপর প্রভাব বিস্তার করতে না পারে, তাতে সুবিধা হবে চেয়ারম্যান সাহেব শুধু নিদিষ্ট একটি ওয়ার্ড/এলাকা থেকে নির্বাচিত হবেন না, তখন প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা তৈর হবে।
গত অর্ধশতাব্দী থেকে আমরা দেখে আসছি (একমাত্র কামাল চেয়ারম্যান ছাড়া) একই ওয়ার্ড থেকে (A ওয়ার্ড বর্তমানে ১,২ ও ৩ ওয়ার্ড) বার বার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে আসছে, কারণ ভোটের সংখ্যার দিক দিয়ে A ওয়ার্ডে (১,২,৩ নং ওয়ার্ড) যত ভোটার আছে তা অন্য ২টি ওয়ার্ড B ও C (৪,৫,৬,৭,৮ ও ৯ নং ওয়ার্ড) ওয়ার্ডের মোট ভোটারের প্রায় সমান, তাই চেয়ারম্যান নির্বাচনের সময় এই A ওয়ার্ডই (১,২,৩ নং ওয়ার্ড) মুখ্য ভুমিকা পালন করে থাকে, সুতরাং একই এলাকার থেকে চেয়ারম্যান বার বার নির্বাচিত হয়ে আসলে স্বেচ্ছাচারী হয়ে উঠে, উন্নয়নের ক্ষেত্রে ও বৈষম্যের ভাব পরিলক্ষিত হয়।
আবার দেখা যায়, অন্যান্য ওয়ার্ডের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীগণ অনেক যোগ্যতা সম্পন্ন হওয়া সত্বেও নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে আসতে পারেন না, ভোটের সংখ্যাধিক্ষ্যের কারণে কম যোগ্যতা সম্পন্ন লোকের কাছে হেরে যায়, তাই আমার/আমাদের দাবী ভোটের এই বৈষম্য প্রথা বাতিল করতে হবে, আগামীর সম্ভবনাময় "মডেল ছদাহার" বিনির্মানের লক্ষ্যে প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে নির্বাচিত চেয়ারম্যান দেখতে চাই।))
#দ্বিতীয় চাওয়া- ৮ নং ওয়ার্ডে একটি ইবতেদায়ী মাদ্রাসা চাই।
(( আমাদের ৮ নং ওয়ার্ডে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই, তাই শিশুতল কেন্দ্রীক একটি ইবতেদায়ী মাদ্রাসা হলে, অত্র এলাকার গরীব ও অসহায় শিক্ষার্থীরা ও লেখাপড়ার সুযোগ পাবে।))
#তৃতীয় চাওয়া- শিশুতল কাঁচা বাজার হতে ৮ নং ওয়ার্ডের বুক ছিঁড়ে যাওয়া সড়কটি ৯ নং ওয়ার্ড পর্যন্ত বিস্তৃত, এই সড়কটির পূর্ণাঙ্গ সংস্কার চাই।
(( শিশুতল হতে কাঁচা রাস্তাটি বিল্লিয়া পাড়া, মধ্য বিল্লিয়া পাড়া, টেইক্কা খলিফা পাড়া, নুনু চৌধুরী পাড়া হয়ে ৯ নং ওয়ার্ডের হাঙ্গর খালের ব্রিজ পর্যন্ত রাস্তাটি পীচ ঢালাই করতে হবে, যেহেতু শিশুতলার কাঁচা বাজার থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার টন শাক সবজি, তরিতরকারি সহ বিভিন্ন রকম ফল ফলাদি দেশের স্হান থেকে পাইকারেরা এসে পণ্য কিনে চট্টগ্রাম, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় নিয়ে যায়।
ছদাহা ও পদুয়ার কৃষকেরা যাতায়াতের সুবিধার জন্য শিশুতলের এই রাস্তাটি ব্যবহার করে থাকে, তাই কৃষকেরা যাতে সহজে কম খরচে এই রাস্তাটি ব্যবহার করে তাদের উৎপাদিত পণ্য সামগ্রী বাজারজাত করতে পারে, এ ছাড়া এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন স্কুল ও কলেজগামী শিক্ষার্থীসহ শত শত মানুষ যাতায়াত করে থাকে, তাই রাস্তাটি পূর্নাঙ্গ সংস্কার খুবই জরুরী।))
#চতুর্থ চাওয়া- ৮ নং ওয়ার্ডকে মাদক ও কিশোরগ্যাং মুক্ত করতে হবে।
আমি চাই আগামীতে ছদাহার জনপ্রতিনিধি হিসাবে যারা নির্বাচিত হয়ে আসবেন, তাদের কাছে এলাকার পক্ষ হতে "আমার চাওয়া" দাবী গুলোর প্রতি সবিনয়ে দৃষ্টি রাখবেন এবং যারা আমাদের সাথে একাত্বতা প্রকাশ করবেন, ৮ নং ওয়ার্ডবাসী তাদের পাশে থেকে কৃতজ্ঞতা সহ সর্বাত্মক সহযোগিতা করে যাবে- ইনশাআল্লাহ....
আগামীর সম্ভব্য জনপ্রতিনিধিদের জন্য অগ্রীম শুভেচ্ছা ও শুভ কামনা রইল 💓💓💓
Comments
Post a Comment