Skip to main content

Posts

Showing posts from May, 2023

ভিসা ও পাসপোর্ট থাকার পরও বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন হয়েছে মোহাম্মদ শাওন নামের এই মালয়েশিয়া প্রবাসী।

 ভিসা ও পাসপোর্ট থাকার পরও বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন হয়েছে মোহাম্মদ শাওন নামের এই মালয়েশিয়া প্রবাসী।  মৃত শাওনের মা হাইকমিশন থেকে কোনো সহায়তা পায়নি, হাইকমিশন কে জানিয়ে বা হাইকমিশন জানা স্বত্ত্বেও কোনো  হেল্প করেনি। হাইকমিশন এর কর্মকর্তারা কেন মালয়েশিয়া আছে, আসলে তাদের কাজ কি? তাদের বেতন আসে কোথা থেকে, কেনো তারা বেতন বা তাদের পরিবার সহ মালয়েশিয়ায় থাকে এইটা তারাও জানে না। অন্যান্য দেশের হাইকমিশন যেই পরিমান সেবা দেয়, মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশন তার বিন্দুমাত্র সেবা দেয় না, তাদের কাজ বিশেষ দিনে হাইকমিশনে বক্তব্য দেয়া, সাংবাদিকদের ডেকে খাওয়াদাওয়া করা।  এদের কাজ শেষ।  আজ শাওন বেওয়ারিশ হয়ে দাফন হয়েছে, কাল এমন আরও অনেক শাওন হবে। আর আমাদের হাইকমিশন কোনো এক অফিসিয়াল সেমিনারে বলবে প্রবাসীরা তাদের নিয়ে সমালোচনা করে, তারা অনেক কাজ করে উলটে ফেলছে। প্রবাসী শাওনের জন্য দোয়া করবেন, আল্লাহ তায়া’লা এই প্রবাসীকে জান্নাতবাসী করুন।

হলুদিয়া পাখী সোনারই বরণ... পাখীটি....ছাড়িল কে.

 রোজ সকালে আমার মেহগণি বাগানে  উড়ি-উড়ি করে। চমৎকার করে ডাকে। জট ডুমুর গিলে খায়। দুষ্টু কাল কাক তাড়িয়ে বেড়ায়। কাল ফিংগে এগাছ-ওগাছ ক'রে ঘোরে। এত দুষ্টু এই কাল কাক, মাঝে-মাঝে গাছে বসে চমৎকার করে বীণার সুরে ডাকে। আমি ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে কান পেতে শুনি, দেখি। বসন্ত বাহার পাখী লম্বু গাছের ডালে পাতার আব্ডালে বসে,হামান দিস্তির পান বাটার সেই ঠক্-ঠক্ শব্দে ডাকে। আর ও আসে বিশ্বকবি রবিবাবুর বিশ্বনন্দিত হল্দি আর সাদা রং বউ কথা কও পাখী। আমাকে মিষ্টি সুরে, দুষ্টুমী করে, ডেকে বলে যায়, "বউ কথা কও।" মনে পড়ে যায়, প্রয়াত বিখ্যাত প্রিয় পল্লী শিল্পী, আব্বাস উদ্দীনের বিখ্যাত সেই  গান, "হলুদিয়া পাখী সোনারই বরণ... পাখীটি....ছাড়িল কে...."

কাজী যতো বিয়া পড়ায় না, তার চেয়ে বেশি বিয়া আমি পড়াই। তাও আবার ডেইলি।

 কক্সবাজারে হোটেলের এক রিসিপশনিস্টের সাথে মিটিং হলো, তিনি বললেন, কাজী যতো বিয়া পড়ায় না, তার চেয়ে বেশি বিয়া আমি পড়াই। তাও আবার ডেইলি।  কিভাবে?  ঢাকা থেকে বাবা মাকে ভুজুং ভাজুং দিয়ে উঠতি বয়সি খোকাবাবু এবং খুকুমণিরা আমাদের হোটেলে সুয়ামি আর ইসতিরি পরিচয় দিয়ে রুম নিচ্ছে। নিজেদের মতো করে সময় কাটাচ্ছে, এই হচ্ছে দেশের অবস্থা।  স্টাডি ট্যুরে এসে সেখান থেকে হঠাত দুই ঘণ্টার জন্যে ধরেন মন্টু আর মুন্নি গায়েব। কি ব্যাপার? কি ব্যাপার? সেই দুই ঘণ্টায় তারা হোটেলে উঠে আসছে জামাই বৌ হয়ে।  সব ধরনের হোটেলেই এরকম শত শত মোবাইল বৌ আর মোবাইল জামাই আছে। কিশোর বয়সী ছেলেমেয়েরা হোটেলে রুম ভাড়া করে স্বল্প সময় বা দীর্ঘ সময়ের জন্যে। স্টাডি ট্যুর, ব্যাচ ট্যুর এগুলা বালফ্রেন্ড এবং গালফ্রেন্ডের এক সাথে রাত কাটানোর একটা উপলক্ষ মাত্র।  গতকাল সাঁতার কাটতে গিয়ে দেখি দুই খুকি অতি স্বল্প বসনে পুলপাড়ে বসে বিড়ি ফুকাচ্ছেন, হুট করে সেখানে ৩ খোকার আগমন। এসে একজন আরেকজনের সাথে কিসমিস খাচ্ছে। মাঝে বিড়ি টানছে। এখানে কে কার বৌ, কে কার ভাবী, কে কার শালী, আল্লাহ্‌ ভালো জানেন। মানে পুরা পিনিকময় পরিবেশ।  ...